সমাবেশে না গেলে হল ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রলীগ নেতার, অডিও ভাইরাল

ছাত্রলীগের সমাবেশে না গেলে হল ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল ও আলাওল হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মীদের এ নির্দেশ দেন তিনি। হল দুটিতে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের নেতাকর্মীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

মোহাম্মদ ইলিয়াস শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের নেতা। ক্যাম্পাসে তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে পরিচিত।

ইতোমধ্যেই নির্দেশের একটি অডিও রেকর্ড কালবেলার হাতে এসে পৌঁছেছে। সেখানে স্পষ্ট শোনা যায় শাখা, ছাত্রলীগের সমাবেশে না গেলে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস।

অডিও রেকর্ডের বক্তব্য হুবহু কালবেলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্র সমাবেশের প্রোগ্রাম শুক্রবারে। শুক্রবার ও শনিবার দুদিনই বন্ধ। যদি কারো পরীক্ষা থেকে থাকে সেটা রোববার হবে। আমরা এরকম আমাদের সময়ে পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে, সংগঠনের প্রোগ্রামে দায়িত্ব পালন করেছি। তোমরা যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে হলে থাকতেছ। তোমাদের থেকে কোনো ভাড়া নেওয়া হয় না। তোমাদের ফর্ম ফিলাপের টাকা লাগলে সেটাও আমি দেই। তোমাদের কোনো প্রয়োজন লাগলে সেটাও আমি মিটাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম। যেহেতু শুক্র শনি দুই দিন বন্ধ, আমরা আগামীকাল রাত্রে রওয়ানা দিব এবং শনিবার একদিন বন্ধ আছে। শনিবারে পড়ালেখা করে তোমরা রোববার পরীক্ষা দিতে যাবা। আশা করি কোনো ধরনের প্রবলেম হবে না। সুতরাং, যারা এফ রহমান এবং আলাওল হলে আছো সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। তোমাদের অবশ্যই ঢাকায় যেতে হবে। ঢাকায় যাওয়ার গাড়ি ভাড়া এবং খাবারের ব্যবস্থা এটা আমি করব। আমার নেতা মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইয়ের সহায়তায়। তাই, বিষয়টা খুব বেশি জরুরি। আর যারা যাবে না তারা আল্লাহর ওয়াস্তে নিজ দায়িত্বে হলগুলো ছেড়ে দিয়ে তোমরা বাহিরে চলে যাও।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ ইলিয়াস কালবেলাকে বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যদের মতো আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের কেউ যদি রুলস না মানে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
সুত্রঃ কালবেলা